প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
ভিক্ষুক সেফালী রানী দাসের চুরি যাওয়া সিএনজি উদ্ধার করে দিতে, ২০ হাজার টাকা দিতে হবে মর্মে দাগনভূঞা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই রোকন উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফেনী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভিক্ষুক সেফালী রানী দাস।
পুলিশ সুপার (ফেনী) অভিযোগ গ্রহন করে দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ কে অনুসন্ধান পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, সেফালী রানী দাস ভিক্ষার টাকায় ২ টি সিএনজি ক্রয় করেন, তার মধ্যে একটি সিএনজি যার চেসিস নং ১৭১১৯, ইন্জিন নং ৮৫৭৫২ যা রোজ ৫০০ টাকা ভাড়ায় আবদুর রহমান শান্ত (২৭) নামে এক যুবক কে চালক হিসাবে নিযুক্ত করেন। কিছু দিন ঠিক মত জমার ৫০০ টাকা করে দিয়ে রাতে গাড়িটি সেফালী রানী দাস কে বুজিয়ে দিলও গত, ১০/০২/২৫ ইং তারিখে শান্ত গাড়িটি যথাযথ ভাবে মালিক সেফালী রানী দাস কে বুজিয়ে না দিয়ে তার সহযোগিদের নিয়ে চুরি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
খোঁজা খুঁজি করে সিএনজি ও চালক শান্তর কোন হদিস না পেয়ে ১১/০২/২৫ ইং তারিখে সেফালী রানী দাস বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় সিএনজি চুরি যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। যার তদন্ত ভার পড়ে দাগনভূঞা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই রোকন উদ্দিনের নিকট।
এই বিষয়ে বাদীনী সেফালী রানী দাস এস আই রোকন উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, থানায় অভিযোগ দায়েরের পর
এস আই রোকন উদ্দিন স্যার কে আমার অবস্থা বিবেচনায় সিএনজি টি উদ্ধারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানোর কথা বলি, এস আই রোকন স্যার বলেন এটি উদ্ধার করতে হলে সিএনজির লোকেশন জানতে হবে। লোকেশন জানতে ২০ হাজার টাকা খরচ লাগবে । আমি ন
িজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে সিএনজি উদ্ধার করতে পারবো না।
এস আই রোকন স্যারের কথার গুরুত্ব দিয়ে সিএনজি টি উদ্ধারের জন্য আমি ওনাকে ৪ হাজার টাকা প্রদান করি। ৪ হাজার টাকা নিয়ে এস আই রোকন স্যার সিএনজি টি যাথা শিগ্র উদ্ধার করবেন বলে আমাকে আস্বস্ত করেন। কিন্তু সময় অতিবাহিত হলেও তিনি সিএনজি টি উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতারের কোন চেষ্টা না করাতে আমি বার বার ওনার কাছে যাই। কিন্তু যত বার ই থানায় গিয়ে এস আই রোকন স্যারের সাথে দেখা করি তিনি শুধু টাকা দাবি করেন। ২০ হাজার টাকা দিলে তিনি সিএনজি উদ্ধার করে দিবেন। এখন বলেন স্যার আমি এত টাকা কই পামু, ভিক্ষা করে পেট চালাই, আমি অসুস্থ, আমার ২ ছেলে প্রতিবন্ধী আমি কি হাসপাতালে যামু, না চিকিৎসা করামু নাকি থানায় দৌড়ামু? বলে কাঁদতে থাকেন।
অভিযোগের বিষয়ে এস আই রোকন উদ্দিন জানান, ভিক্ষুকের কাছে আমি কি করে টাকা দাবি করি? আমি কি মানুষ না? আমার বিবেক কি মরে গেছে? এটা এক ধরনের ভিত্তি হীন ও মিথ্যা অভিযোগ।
তিনি আরো জানান মোট ৪ জন আসামীর মধ্যে ১ নং আসামী আমরা ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করি এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, বাকী আসামীদের গ্রেফতার ও সিএনজি উদ্ধারের আপ্রান প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
৪ হাজার টাকা দেয়া প্রসঙ্গে বলেন তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত আমাকে উক্ত বিষয়ে এক টাকাও কেউ দেন নি। এটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য আমি কেন টাকার বিনিময়ে সেবা দিব?
টাকা চাওয়া ও নেয়ার বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।
অভিযোগ তদন্তের বিষয়ে দাগনভূঞা থানা অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান জানান, এই বিষয়ে আমি পুলিশ সুপার (ফেনী) মহোদয়ের নির্দেশনায় তদন্ত করছি।